৮ম শ্রেণীর বিজ্ঞান এ্যাসইনমেন্ট সমাধান ১৫তম সপ্তাহ

৮ম শ্রেণীর বিজ্ঞান এ্যাসইনমেন্ট সমাধান ১৫তম সপ্তাহ

ক) উভয় ক্ষেত্রে বস্তু দুটি একই সময়ে মাটিতে পড়ছে কিনা, কারণ বিশ্লেষণ, অভিকর্ষজ ত্বরনে ও ভরের প্রভাব।

একটি কাগজ ও একটি ভারি বল ১০ ফুট উচ্চতা থেকে ছেড়ে দিলে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে মাটিতে পৌছায়।একই উচ্চতা থেকে একসাথে কাগজ ও ভাড়ি বল | ছেড়ে দিলে স্বাভাবিক ভাবে একই সময়ে মাটিতে পৌঁছানাের কথা। কারণ বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষজ ত্বরণ বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে না।

তাই ভাড়ি বল ও কাগজ উপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষজ ত্বরণ একই। সুতরাং একই সময় মাটিতে পড়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা ঘটবে না।

বাতাসের বাধার ভিন্নতার কারণেই মূলত এই ঘটনাটি ঘটে। বস্তু দুটিকে উপর থেকে ছেড়ে দিলে বাতাস তাদেরকে নিচে পড়তে বাধা সৃষ্টি করে। এই বাধা ভরের ও আয়তনের উপর নির্ভর করে।

এখানে ভাড়ি বলের চেয়ে কাগজের ক্ষেত্রে বাতাসের বাধার পরিমাণ বেশি হবে। তাই কাগজের আগেই ভাড়ি বলটি মাটিতে পড়বে। অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাবঃ – এ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনাে বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ করণ বলে। বস্তুর ওজনের উপর অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাব বিদ্যমান।

নির্দিষ্ট ভরের কোনাে বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণের মানের উপর নির্ভরশীল। যেমন কোনাে বস্তুর ভর ১০০ কোজি হলে বিষুব অঞ্চলে বস্তুটির ওজন হতে ১০০ x ৯.৭৮ = ৯৭৮ নিউটন এবং

মেরু অঞ্চলে বস্তুটির ওজন হবে ১০০ x ৯.৮৩ = ১৮৩ নিউটন।

ভরের প্রভাবঃ–বস্তুর ভর একটি ধ্রুব রাশি অর্থাৎ পরিবর্তনশীল। কিন্তু বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর নির্ভর করে। যেসব কারণে অভিকর্ষজ ত্বরণের পরিবর্তন ঘটে সেসব কারণে বস্তুর ওজনেরও পরিবর্তন হয়। চাদে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ। আবার পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণের মানে সামান্য তারতম্য ঘটে থাকে। ফলে বস্তুর ওজলেরও তারতম্য ঘটে।

খ) মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ সুত্রের সঠিক ব্যবহার।

অভিকর্ষঃ– এই মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তু কণাই একে অপরকে নিজের | দিকে আকর্ষণ করে। এই মহাবিশ্বের যেকোনাে দুইটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে মহাকর্ষ বলে। দুইটি বস্তুর একটি যদি পৃথিবী হয় তবে তাকে অভিকর্ষ বলে অর্থাৎ কোনাে বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণকে অভিকর্ষ বলা হয়। মহাবিশ্বের যেকোনাে দুইটি বস্তুর আকর্ষণ সম্পর্কে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনাে বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।

মহাকর্ষঃ– এ মহবিশ্বের যেকোনাে দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে মহাকর্ষ বলে। সূত্রঃ– মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজ দিকে আকর্ষণ করে এবং এ আকর্ষণ বলের মান বস্তুকণাদ্বয়ের ভরের | গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এ বল বস্তুকণাদ্বয়ের সংযােজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।

পড়ন্ত বস্তু কোনাে বস্তুকে উপর থেকে ছেড়ে দিলে অভিকর্ষের প্রভাবে ভূমিতে পৌছায় ভারী ও একটি হালকা বস্তু ছেড়ে দিলে এগুলাে একই সময়ে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাবে। একটি কাগজ মুরালাে তৈরি বল ও একটি কাগজ একই উচ্চতা থেকে ছেড়ে দিলে দেখা যায় যে, কাগজের মুরানাে বলটি আগেই মাটিতে পৌছায়। যেহেতু বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষজ ত্বরণ বতুর ভরের উপর নির্ভর করে না, তাই কাগজ ও কাগজের বলের উপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষজ ত্বরণ একই। সুতরাং তাদের একই সময়ে মাটিতে পৌছানাের কথা।

বাতাসের বাধার জন্য কতু দুইটি ভিন্ন সময়ে মাটিতে পৌঁছায়। বাতাসের বাধা না থাকলে এগুলাে অবশ্যই একই সময় মাটিতে পৌঁছাত । পড়ন্ত বস্তুর সূত্রাবলি : পড়ন্ত বস্তু সম্পর্কে গ্যালিলিও তিনটি সূত্র বের করেন। এগুলােকে পড়ন্ত বস্তুর সূত্র বলে। এই সূত্রগুলাে একমাত্র স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযােজ্য অর্থাৎ বস্তু পড়ার সময় স্থির অবস্থান থেকে পড়বে, এর কোনাে আদি বেগ থাকবে না। বতু বিনা বাধায় মুক্তভাবে পড়বে অর্থাৎ এর উপর অভিকর্ষজ বল ছাড়া অন্য কোনাে বল ক্রিয়া করবে না।

যেমন- বাতাসের বাধা এর উপর ক্রিয়া করবে না। প্রথম সূত্র : স্থির অবস্থান ও একই উচ্চতা থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত সকল বস্তু | সমান সময়ে সমান পথঅতিক্রম করে। দ্বিতীয় সূত্র : | স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে (t) প্রাপ্ত বেগ (v) ঐ সময়ের সমানুপাতিক অর্থাৎ, v~ t তৃতীয় সূত্র : স্থির অবস্থান | থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তু নির্দিষ্ট সময়ে যে দূরত্ব (h) অতিক্রম করে তা ঐ সময়ের (t) বর্গের সমানুপাতিক অর্থাৎ, h ~ t2

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *