সপ্তম শ্রেণীল কৃষি শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর – ষষ্ঠ সপ্তাহ

সপ্তম শ্রেনীল কৃষি শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ ৬ষ্ঠ সপ্তাহ

সখিপুর গ্রামের সবুজ বাড়ির উত্তর পাশে ঢালু জমিতে সবজি চাষ করেছেন। দক্ষিণ পাশের জমিতে একটি পেঁপে বাগান করেছেন। এছাড়া তিনি বাড়ির সামনে একটি বীজতলা তৈরি করেছেন। উপরোক্ত তথ্যের আলোকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

১। বি.আই.পি, সি.আই.পি, কে.আই.পি, এম.আই.পি ও জি.কে.প্রজেক্ট-এর পূর্ণরূপ লিখ।

২। সবুজ ঢালু জমিতে, ফল বাগানে ও বীজতলায় কোন কোন পদ্ধতিতে পানি সেচ দিবে?

৩। তোমার লেখা পদ্ধতিগুলোর কমপক্ষে একটি করে সুবিধা লেখ।

৪। পানির অপচয় রোধে কোন সেচ পদ্ধতিটি অধিক কার্যকর- তোমার মতামত দাও।

সপ্তম শ্রেণীল কৃষি শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর

উত্তর ১:

বি.আই.পি, সি.আই.পি, কে.আই.পি, এম.আই.পি ও জি.কে.প্রজেক্ট-এর পূর্ণরূপ-

 

  • বি.আই.পি- বরিশাল সেচ প্রকল্প।
  • সি.আই.পি- চাঁদপুর সেচ প্রকল্প।
  • কে.আই.পি- কর্ণফুলী সেচ প্রকল্প।
  • এম.আই.পি- মুহুরী সেচ প্রকল্প।
  • জি.কে.প্রজেক্ট- গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প।

 


উত্তর: ২

সবুজ ঢালু জমিতে প্লাবন সেচ পদ্ধতিতে পানি সেচ দিবো।

এ পদ্ধতিতে সমতল জমিতে খাল, বিল বা পুকুর হতে আসা পানি দিয়ে প্রধান আলোর সাহায্যে সেচ দেওয়া হয়। সেচের পানি যাতে আশেপাশের জমিতে যেতে না পারে সেজন্য জমির চারদিকে আইল বাঁধতে হয়।
ফল বাগানে বৃত্তাকার সেচ দেয়া হয়।

এই সেচ পদ্ধতিতে সমস্ত জমিতে সেচ না দিয়ে শুধু যে স্থানে গাছ রয়েছে সেখানেই পানি সরবরাহ করা হয়। সাধারণত বহুবর্ষজীবী ফল গাছের গোড়ায় পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়। ফল বাগান এর মাঝ বরাবর একটি প্রধান নালা কাটা হয়। অতঃপর প্রতি গাছের গোড়ায় বৃত্তাকার নালা কাটা হয় এবং প্রধান নালার সাথে সংযোগ দেয়া হয়।
বীজতলায় ফোয়ারা সেচ দেয়া হয়।

ফসলের জমিতে বৃষ্টির মতো পানি সেচ দেওয়াকে ফোয়ারা সেচ বলে। শাকসবজির খেতে এই পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়। আমাদের দেশে বীজতলায় কিংবা চারা গাছে ঝাঁঝরি দিয়ে যে সেচ দেওয়া হয় তাও ফোয়ারা সেচ।

উত্তর ৩:


প্লাবন সেচের সুবিধা হলোঃ
-রোপা ফসল বা শস্য ছিটিয়ে বোনা জমিতে প্লাবন সেচ কার্যকর হয়।
-শ্রম ও সময় উভয়ই কম লাগে।
-জমির মধ্যে নালার দরকার হয় না।

বৃত্তাকার সেচের সুবিধা হলোঃ
-পানির অপচয় হয় না।
-পানি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।


ফোয়ারা সেচের সুবিধা হলোঃ
-সবজির পাতায়, কান্ডে আলাদাভাবে পানি পৌঁছায়।

উত্তর ৪:


পানির অপচয় রোধে ‘বৃত্তাকার সেচ’ পদ্ধতিটি অধিক কার্যকর।

এই সেচ পদ্ধতিতে সমস্ত জমিতে সেচ না দিয়ে শুধু যে স্থানে গাছ রয়েছে সেখানেই পানি সরবরাহ করা হয়। সাধারণত বহুবর্ষজীবী ফল গাছের গোড়ায় পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়। ফল বাগান এর মাঝ বরাবর একটি প্রধান নালা কাটা হয়। অতঃপর প্রতি গাছের গোড়ায় বৃত্তাকার নালা কাটা হয় এবং প্রধান নালার সাথে সংযোগ দেয়া হয়। বৃত্তাকার সেচের সুবিধা হলোঃ
-পানির অপচয় হয় না।
-পানি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *